পুরুষের চাই একাধিক নারী, কেন?
এ কথা অস্বীকারের উপায় নেই যে, অনেক পুরুষের কাছেই নিজের প্রেমিকা বা স্ত্রীর চাইতে অন্যের প্রেমিকা/স্ত্রীকে আকর্ষণীয় বেশি! দেখা যায় এমন অনেক পুরুষই আছেন যারা দু’প্রেমে বিশ্বাসী। এরা একজন দ্বারা সন্তুষ্ট থাকে না। নিজের জীবনে একজন নারী থাকা সত্ত্বেও অন্য কারো স্ত্রী বা প্রেমিকার সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। এবং পুরুষদের পরকীয়া করার পেছনে এটা অনেক বড় একটি কারণ থেকে আসছে অনেকে আগে থেকেই কেন এরা পরকীয়া করে? কেন তাদের চোখে অন্যের প্রেমিকা বা স্ত্রী আকর্ষণীয়?আসুন জেনে নেই এর পেছনে থাকা মুখ্য কিছু কারণ –
১। এমন কি আছে তার মাঝে?
একটি মেয়েকে একজন পুরুষ এত ভালবাসছেন, তাঁকে নিয়েই থাকছেন। কিন্তু কেন? চরম আকর্ষনবোধ ও জানার ইচ্ছা এর পেছনে কাজ করে। আসলে আছে টা কী ওই নারীর মাঝে? এমন কিছু কি আছে যা আমার জনে নেই? আমার স্ত্রী/ প্রেমিকার মাঝে কি এটা আছে নাকি আমি জানি না? এই প্রশ্নের জবাব খুঁজতে গিয়েই অদম্য আকর্ষণ বোধ করে জড়িয়ে যায় অনেক পুরুষ।
২। ফাঁদে পা দেয়া!
একথাও অস্বীকারের উপায় নেই যে নিজের প্রেমিক বা স্বামী থাকা সত্ত্বেও অনেক মেয়ে চেষ্টা করে পর পুরুষের মনযোগ আকর্ষণ করার। আর সেই চেষ্টার ফাঁদেও আটকে যায় অনেক পুরুষ। তাদের মাঝে এতটুকু বোধ বুধি কিংবা জ্ঞানের সঞ্চার হয়ে ওঠে না যে অন্য মেয়েটি তাকে ফাঁসিয়ে তার সোনার সংসারে আগুন দিচ্ছে।
৩। এক সম্পর্কে হাঁপিয়ে ওঠা
পৃথিবীতে বেশিরভাগ মানুষই একটি প্রেম বা বিয়ের সম্পর্ক বেশিদিন টিকিয়ে রাখতে পারেন না। হয়তো জীবনভর তারা সম্পর্ক রক্ষা করেন, কিন্তু মনে মনে হাঁপিয়ে ওঠেন। সেই ক্লান্তি দূর করতেই পুরুষেরা আকৃষ্ট হন আরেক নারীর প্রতি। অনেকেই বলেন। ‘ একজন দিয়ে আর কতদিন?” এ ধরণের মনোভাবের ফলে তারা চলে যায় অন্য নারীর সংস্পর্শে।
৪। নতুন যৌন তৃপ্তির সন্ধানে
যৌন জীবনে নতুন স্বাদের আশায় অন্যের প্রেমিকা বা স্ত্রীর প্রতি ঝুঁকে পড়েন অনেক পুরুষ। তাদের মনে হয় অন্য পুরুষটি হয়তো যৌন জীবনে অনেক বেশী তৃপ্ত। সেই তৃপ্তি তারাও পেতে চান। যার মূলে রয়েছে অধিক যৌন প্রিতি ও চাহিদা। অনেক সময় স্ত্রীর অবহেলার জন্যেও এমন তা ঘটে থাকে। স্ত্রী ঠিকভাবে সময় না দিলে অথবা স্বামীকে সন্তুষ্ট করত না পারলেও এমন তা হয়।
৫। সঙ্গিনীর প্রতি শারীরিক আকর্ষণ কমে যাওয়া
পুরুষদের একটা বড় অংশ কেবলমাত্র এই কারণে অন্যের প্রেমিকা/স্ত্রীর প্রতি আকর্ষণ বোধ করেন, কেননা নিজের একান্ত নারীটিকে তার আর আকর্ষণীয় মনে হয় না। সেই একই চেহারা, একই সাজসজ্জা, একই সৌন্দর্য মনে হতে থাকে। প্রেমিকা বা স্ত্রী যত রূপসীই হোক না কেন, তাই অন্য নারীর দিকে পুরুষের নজর যাবেই। এই কারণেই নিজের প্রেমিকা বা স্ত্রীর চাইতে দেখতে খারাপ নারীদের প্রতিও আকর্ষণ দেখা যায় অনেক পুরুষের।
৬। দায়ভারের সুবিধা
আরেকজনের প্রেমিকা বা স্ত্রীর সাথে সম্পর্ক করার সুবিধা হলো বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কোন কমিটমেনট দিতে হয় না। আর অনেক পুরুষের কাছেই এটা একটা প্লাস পয়েন্ট! তাদের কাছে মনে হয় কোন জবাবদিহিতা অথবা কোন প্রশ্ন-উত্তর এর ভাবনা নেই এইখানে। আবার অনেকের কাছে এও মনে হয় এখানে শুধু শান্তি ও তৃপ্তি, কোন দায়িত্ব নেয়ার অবকাশ নেই যার ফলে পরকীয়ায় আকৃষ্ট হয় পুরুষ।
৭। প্রত্যাশা অপূর্ণ থাকা
হয়তো প্রেমিকার কাছ থেকে অনেক কিছু প্রত্যাশা ছিল কিংবা হয়তো অনেক আশা করে বিয়ে করেছিলেন, কিন্তু সেই আশা পূরণ হয়নি। এমন ক্ষেত্রে পুরুষ এমন পুরুষদের প্রেমিকা কিংবা স্ত্রীদের প্রতি আকর্ষণ বোধ করেন যারা নিজেদের জীবনে সুখী আছে।
৮। তার কাছে যা আছে আমার কাছেও থাকা চাই
ছেলেদের ছোটবেলায় যেমন রেষারেষি থাকে খেলনা নিয়ে, বড় বেলায় সেটা রূপান্তরিত হয়ে যায় নারী ভিত্তিক রেষারেষিতে। শুনতে খারাপ শোনালেও এটা সত্য যে এখনো বেশিরভাগ পুরুষের কাছেই নারী একটা পণ্য বা খেলনার মতই। যেটা আরেকজনের আছে, আমারও থাকতে হবে- এই ভাবনা থেকেই অন্যের প্রেমিকা/স্ত্রীর প্রতি আকর্ষণ জন্মায়। তাদের কাছে মনে হয় সব কিছুই তাদের থাকতে হবে। অন্য পুরুষের সুন্দর বা আকর্ষণীয় প্রেমিকা থাকলেও তারও থাকা লাগবে।